বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। সন্ত্রাস ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে শপথ নিয়ে ১৬ অক্টোবর থেকে মাঠের আন্দোলনের ইতি টেনেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
তবে আবরার হত্যার চার্জশিটে নাম থাকা সব আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন অব্যাহত রাখার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
১৬ অক্টোবর গণশপথ শেষে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের আমরা বুঝাচ্ছি। ওরা বুঝছে। ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব কমে আসছে।
তিনি বলেন, চার্জশিটের জন্য ক্লাসে ফিরতে দেরি করলে সবার সমস্যা হবে। আমরা ছাত্রদের বুঝানোর চেষ্টা করছি। আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরুন। আশা করি একটা ভালো রেজাল্ট আসেব। অনেক দূর এগিয়ে এসেছি।
এর আগে ১৬ অক্টোবর বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সন্ত্রাস ও নিপীড়নে বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা গণশপথ নেন। শপথে বুয়েট ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তারা। এ গণশপথের মধ্য দিয়ে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঠের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটল।
শপথ অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। শপথবাক্য পাঠ করান বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিমকি।
এর আগে শপথ নিয়ে বেলা ১১টা থেকে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জমায়েত হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় গণশপথ হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেটি দেরিতে শুরু হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আরিফ ইবনে আলী বলেন, গণশপথের মধ্য দিয়ে মাঠের আন্দোলন শেষ হলো৷ মাঠের আন্দোলন শেষ হলেও দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ চলবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হয়।
তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করে তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।