বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় আটক ৯

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত নয়জনকে আটক করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় ৭ অক্টোবর রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় আমরা এ পর্যন্ত নয়জনকে আটক করেছি।

তবে সবার পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেছেন, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন।

এ ঘটনায় পলাতক তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত সাহা, উপদপ্তর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবাবিষয়ক উপসম্পাদক ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইফতি মোশারফ।

৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা যায়, রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। পরে দিবাগত রাত তিনটার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।

ময়নাতদন্তে জানা যায়, মারধরের কারণে রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় তার মৃত্যু হয়।

sarkar furniture Ad
Green House Ad