সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর পৌর এলাকার আর ডি এম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে গাছ বিক্রির দেড় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানায়, রানী দিনমণি (আর ডি এম) মডেল প্ইালট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধান সড়ক ঘেঁষে প্রতিষ্ঠানের ১১টি ফলজ ও বনজ গাছ বিক্রি করে দেন। পরে মৌখিকভাবে কাঠ ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে গাছগুলো দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে নিজের পকেটস্থ করেন তিনি। বিদ্যালয়ের গাছ বা কোনো সম্পত্তি সরাসরি উপজেলা দরপত্র কমিটির মাধ্যমে প্রকাশ্য কোটেশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিক্রির নিয়ম থাকলেও কিছুই জানে না কমিটি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মৃত আব্দুল মালেক সরকারের ছেলে যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, বিদ্যালয়ের গাছপালা বিক্রি করতে চাইলে বন বিভাগের মূল্য নির্ধারণীর পর উপজেলা দরপত্র কমিটি বৈঠক করে অনুমতি দেবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রকাশ্য কোটেশন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট একাউন্টে অর্থ জমা দেবেন।
জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, কোনো প্রতিষ্ঠান গাছপালা বিক্রি করতে চাইলে বন বিভাগের কাছে লিখিত চিঠি দিতে হবে। তারপর বন বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বিক্রি করতে হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের কোনো চিঠি পাইনি।
এ ব্যাপারে আর ডি এম মডেল প্ইালট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে কারো অনুমতির দরকার নেই। তবে বিদ্যালয় কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে সামান্য টাকায় কয়েকটি গাছ বিক্রি করা হয়েছে।
আরডিএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল জানান, বিষয়টি আমি কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা দরপত্র কমিটির সভাপতি কামরুন নাহার বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, অনুমোদনহীন গাছ বিক্রির অভিযোগ সংক্রান্ত অনুলিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসক যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ীই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।