জামালপুর শহরের জিগাতলা সড়কের বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই

জিগাতলা সড়কটিতে পানি জমাট থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর পৌরসভার জিগাতলা হয়ে মুন্সিপাড়া ও সাহাপুর যাতায়াতের (বর্তমান) একমাত্র সড়কটির দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশা। অল্প বৃষ্টি হলেই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সাধারণ পথচারী ও যানবহান চলাচলেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

জানা গেছে, সড়কটির পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ তা সময়মত পরিষ্কার না করায় দিনের পর দিন সড়কটিতে পানি জমাট বেঁধে থাকে। এতে এলাকাবাসীসহ সাধারণ পথচারী ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে পানি জমে আছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ওয়ার্ড কাউন্সিলকে বারবার বলেও কোনো কাজ হয়নি। যার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। তারা আরও বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি দিয়ে হেঁটে চলাচলেরও কোনো অবস্থা থাকে না। পৌরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজের ছেলে-মেয়েরা ছাড়াও ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা কাজের জন্য চলাচল করতে হয়। কিন্তু কয়েক মাস হয়ে গেলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি এলাকাবাসীর।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সময়ে যখন সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আর ঠিক তখন এই সড়কটিতে পানি জমাট বেঁধে আছে। তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কটিতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে না। পানি নিষ্কাশন করা না হলে এখানে এডিস মশার জন্ম হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। তারা দ্রুত সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।

জামালপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সুরুজ্জামান জানান, জিগাতলায় যে সড়কটিতে পানি জমাট বেঁধে আছে তা আমি দেখেছি। সড়কটির পাশে ড্রেনেজের পানি নিষ্কাশন না করার জন্য এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, জিগাতলা সড়কটির পাশে ড্রেনেজের পানি সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের সামনে সড়কটির ড্রেনেজ দিয়ে নিষ্কাশন করতে হয়। কিন্তু সড়কটিতে উন্নয়নমূলক কাজ করার কারণে ওই জায়গায় একটি কালভার্ট ভেঙ্গে ডেবে যায়। যার কারণে পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, সড়কটি যতদিন পর্যন্ত কাজ শেষ না করা হবে ওই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। তবে আমি চেষ্টা করছি ড্রেনেজের পানি নিষ্কাশন অন্য কোন উপায় খোঁজে পাওয়া যায় কিনা।