বকশীগঞ্জে হস্তশিল্পের প্রসার ও নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে হস্তশিল্পের প্রসার ও নারীদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির জন্য উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহচরী’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ৫ জুলাই সকাল ১০টায় এ উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও সহচরী সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার তাসনিম রকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহবুব আলম, বকশীগঞ্জ বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী, খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রশিদ, জব্বারগঞ্জ বাজারের ইজারাদার নাজির হোসেন, সহচরী সংগঠনের সদস্য রিদওয়ান হাসান এতিহ্য, নাফিছ হাসান ও সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

হস্তশিল্প প্রসার করা ও নারীদের অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্তকরণের উদ্যোক্তা ব্যারিস্টার তাসনিম রকিব বলেন, বকশীগঞ্জ একটি অনুন্নত এলাকা। এখানে নদী ভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব, সচেতনতার অভাবের কারণে দরিদ্রের সংখ্যা বেশি। এসব দরিদ্র পরিবারের নারীরা কোনো কর্মে যুক্ত না থাকায় গ্রামের নারী ও তরুণীরা অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্তের মধ্যে রয়েছে। নারীদের কর্মে যুক্ত করতে পারলেই তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে। একই সঙ্গে তারা ক্ষমতায়িত হবে। সংসারে তাদের মূল্যায়ন হবে। আর নারীরা কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত না হলে সমাজে কখনোই তাদের মূল্যায়ন হবে না। তাই লাজ-লজ্জা বাদ দিয়ে নারীদের কর্মমুখি হতে হবে। কোনো না কোনো কর্মের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত হয়ে পরিবারে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনতে হবে।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও সহচরী সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার তাসনিম রকিব। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মূলত হস্তশিল্পের মাধ্যমে নারীদের কর্মে যুক্ত করার মাধ্যমে নারীদের হাতে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরির জন্য সহচরী সংগঠন কাজ করবে। বিশেষ করে বিদেশি পণ্যের কারণে দেশিয় পণ্য বিলুপ্তি হওয়ার পথে তাই ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে স্থানীয়ভাবে ‘সহচরী’ সংগঠন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার তাসনিম রকিব।

ব্যারিস্টার তাসনিম রকিব জানান, স্থানীয় এলাকার পিছিয়ে পড়া নারীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য তৈরি করলে তা ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করার উদ্যোগের ব্যবস্থা করবে সহচরী সংগঠন।

এমন একটি উদ্যোগ নেয়ায় সহচরী সংগঠনের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও থানার ওসি এ কে এম মাহবুব আলম ।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় বিভিন্ন এলাকার তরুণী ও নারীরা নকশিকাঁথা, ব্লক বাটিক, বিভিন্ন কাপড়ের ওপর কারুকাজ করা কাপড়গুলো প্রদর্শন করেন। উপস্থিত অতিথি তাদের প্রদর্শিত কাপড়গুলোর মান ও নকশা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।