ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লুটপাটের অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার জয়শঙ্করের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি : রাহুল গান্ধী আইপিএল ক্রিকেটে দিল্লির বড় হারের ম্যাচে ব্যর্থ মুস্তাফিজ মেলান্দহে দুটি ইটভাটায় অভিযান, স্থাপনা বিনষ্ট, জরিমানা ২ লাখ টাকা ইসলামপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি জামালপুর জেলা রেড ক্রিসেন্টের নতুন এডহক কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মেলান্দহে কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় নিহত ১ দেওয়ানগঞ্জে ট্রাক খাদে, নিহত ১ ছাত্রদল নেতা সাম্যর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ গুণীজন সম্মাননা পেলেন শেরপুরের সাংবাদিক লাভলু

সরিষাবাড়ীতে ভাতিজার হামলায় আহত চাচা মারা গেলেন ১৩ দিন পর

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার হামলায় আহত চাচা আব্দুস ছাত্তার বাবলু ২৭ জুন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

ঘটনার ১৩ দিন পর তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাশাপাশি এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভও বিরাজ করছে। ১৪ জুন উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়িয়া গ্রামে খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাচা ভাতিজার মধ্যে হামলা সংঘর্ষে আব্দুস ছাত্তার বাবলুসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়ীয়া গ্রামে আব্দুস সালাম মন্ডলের পাঁচজন ছেলে। তারা একই বসতভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ ১৪ জুন বিকেলে গরুর খাওয়া খড়ের স্তূপ (উচুঁ টিবি) দিচ্ছিলেন বড় ভাই আব্দুল কাদের। এতে বাধা দেন ছোট ভাই আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম। এ নিয়ে দুই পরিবারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধায়।

সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুল কাদেরের ছেলে শামীম মিয়া রামদা দিয়ে তার চাচা আব্দুল ছাত্তার বাবলুর পেটে কোপ দেন। এতে বাবলুর পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার ১৩ দিন পর ২৭ জুন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল ছাত্তার বাবলু মারা যান।

মৃত আব্দুস ছাত্তার বাবলুর স্ত্রী সালমা বেগম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, খড়ের স্তূপ দেওয়ার সময় আমার স্বামী মারামারি ফিরাতে গেলে ভাতিজা শামীম তাকে রামদা দিয়ে পেটে কোপ দিলে গুরুতর আহত হয়। ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লুটপাটের অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সরিষাবাড়ীতে ভাতিজার হামলায় আহত চাচা মারা গেলেন ১৩ দিন পর

আপডেট সময় ০৬:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার হামলায় আহত চাচা আব্দুস ছাত্তার বাবলু ২৭ জুন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

ঘটনার ১৩ দিন পর তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাশাপাশি এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভও বিরাজ করছে। ১৪ জুন উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়িয়া গ্রামে খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাচা ভাতিজার মধ্যে হামলা সংঘর্ষে আব্দুস ছাত্তার বাবলুসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়ীয়া গ্রামে আব্দুস সালাম মন্ডলের পাঁচজন ছেলে। তারা একই বসতভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ ১৪ জুন বিকেলে গরুর খাওয়া খড়ের স্তূপ (উচুঁ টিবি) দিচ্ছিলেন বড় ভাই আব্দুল কাদের। এতে বাধা দেন ছোট ভাই আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম। এ নিয়ে দুই পরিবারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধায়।

সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুল কাদেরের ছেলে শামীম মিয়া রামদা দিয়ে তার চাচা আব্দুল ছাত্তার বাবলুর পেটে কোপ দেন। এতে বাবলুর পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার ১৩ দিন পর ২৭ জুন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল ছাত্তার বাবলু মারা যান।

মৃত আব্দুস ছাত্তার বাবলুর স্ত্রী সালমা বেগম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, খড়ের স্তূপ দেওয়ার সময় আমার স্বামী মারামারি ফিরাতে গেলে ভাতিজা শামীম তাকে রামদা দিয়ে পেটে কোপ দিলে গুরুতর আহত হয়। ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।