ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের সাক্ষাৎ অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে: মাহফুজ আলম পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৎপরতায় রোহিঙ্গা সংকট বৈশ্বিক আলোচনায় ফিরেছে : প্রেস সচিব ইস্তাম্বুলের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত কাশ্মীরে হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ ইরানের আছে ‘অতি গোপনীয়’ এআই সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র : ইরানি জেনারেল সাত বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারল বাংলাদেশ

বকশীগঞ্জে ফণীর প্রভাবে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত

ফণির প্রভাবে প্রবল বষর্ণের ফলে বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ভেঙে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

ফণির প্রভাবে প্রবল বষর্ণের ফলে বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ভেঙে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবের ফলে লন্ডভন্ড হয়েছে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট। ফণির প্রভাবে প্রবল বষর্ণের ফলে রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ঘাটগুলো অবিলম্বে মেরামত করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতে আঘাত হানার পরই বকশীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ৩ মে থেকে ৪ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিরাম বর্ষণে কৃষকের ধান পানিতে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে বাট্টাজোড় ও ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের কয়েক শত হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়।

একই সঙ্গে অনবরত বৃষ্টির ফলে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাগুলো ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে। অনেক রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, তার ইউনিয়নের গাজীরপাড়া বাজার হতে কামালের বার্ত্তী কেবি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি বৃষ্টির কারণে অনেকাংশে ভেঙে হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আচ্চাকান্দি গ্রাম হতে আলীর পাড়া গ্রামের রাস্তাটিও ভেঙে গেছে। এছাড়াও একই ইউনিয়নের অন্যান্য রাস্তাগুলোও বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের রাস্তাটির মাটি সরে গিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দুই একদিনের মধ্যে নিজের অর্থায়নে সংস্কার করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

একই অবস্থা বগারচর ইউনিয়নেও। এই ইউনিয়নের বেশিরভাগ রাস্তাগুলো কাঁচা হওয়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ছোট ছোট খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারছে এসব গ্রামীণ সড়ক দিয়ে।

অবিলম্বে সকল বিধ্বস্ত রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহবুব খান জানান, প্রতিটি ইউনিয়নেই ঝড়ের প্রভাবে কিছু রাস্তা-ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামাত করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু

বকশীগঞ্জে ফণীর প্রভাবে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯
ফণির প্রভাবে প্রবল বষর্ণের ফলে বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ভেঙে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবের ফলে লন্ডভন্ড হয়েছে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট। ফণির প্রভাবে প্রবল বষর্ণের ফলে রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ঘাটগুলো অবিলম্বে মেরামত করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতে আঘাত হানার পরই বকশীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ৩ মে থেকে ৪ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিরাম বর্ষণে কৃষকের ধান পানিতে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে বাট্টাজোড় ও ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের কয়েক শত হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়।

একই সঙ্গে অনবরত বৃষ্টির ফলে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাগুলো ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে। অনেক রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, তার ইউনিয়নের গাজীরপাড়া বাজার হতে কামালের বার্ত্তী কেবি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি বৃষ্টির কারণে অনেকাংশে ভেঙে হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আচ্চাকান্দি গ্রাম হতে আলীর পাড়া গ্রামের রাস্তাটিও ভেঙে গেছে। এছাড়াও একই ইউনিয়নের অন্যান্য রাস্তাগুলোও বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের রাস্তাটির মাটি সরে গিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দুই একদিনের মধ্যে নিজের অর্থায়নে সংস্কার করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

একই অবস্থা বগারচর ইউনিয়নেও। এই ইউনিয়নের বেশিরভাগ রাস্তাগুলো কাঁচা হওয়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ছোট ছোট খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারছে এসব গ্রামীণ সড়ক দিয়ে।

অবিলম্বে সকল বিধ্বস্ত রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহবুব খান জানান, প্রতিটি ইউনিয়নেই ঝড়ের প্রভাবে কিছু রাস্তা-ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামাত করা হবে।