ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্ত দিন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মানুষের জীবন বাঁচাতে সকলের প্রতি রক্ত দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘জীবন বাচানোর প্রয়োজনে প্রত্যেকের উচিত স্বেচ্ছায় রক্ত প্রদান করা।’

১৫ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রক্তদাতা সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ১০, ২৫ ও ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এমন ১৭৩জন রক্তদাতাকে সনদপত্র, আইডি কার্ড, সম্মাননা ক্রেস্ট ও মেডেল দেয়া হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতা তারেক কুদ্দুস ও নিয়মিত রক্তগ্রহিতা থ্যালাসেমিয়া রোগী সুমাইয়া আক্তার সুমি অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন ব্যক্তি যখন মানবিক কারণে জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্ত দেন, তখন তিনি একটি জীবন বাচাঁন।

তিনি বলেন, কোনো রকম বিদেশি সাহায্য ছাড়াই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বহুমুখী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে বান্দরবানের লামা উপজেলার এতিম-বঞ্চিত শিশুদের জন্যে বিদ্যালয় অন্যতম। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন কোর্সের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রক্তদাতাদের কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ২৫ বা ৫০ বার রক্ত দিয়ে থেমে থাকবেন না। সুস্থতা সাপেক্ষে ৬০ বছর পর্যন্ত আপনারা রক্ত দিয়ে যাবেন এবং মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিকিৎসক নিজামউদ্দিন আহমদ জানান, দেশে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রক্ত আসে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কাছ থেকে। আর ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ রক্ত আসে রোগীর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধ-বান্ধবদের কাছ থেকে। বাকি রক্ত আসে পেশাদার রক্ত-বিক্রেতাদের কাছ থেকে, যা দূরারোগ্য ব্যাধির ক্ষেত্রে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

রক্তদাতা ও অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী।

উল্লেখ, ২০০০ সালে ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর কোয়ান্টাম এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১০ লাখ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে। সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্ত দিন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মানুষের জীবন বাঁচাতে সকলের প্রতি রক্ত দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘জীবন বাচানোর প্রয়োজনে প্রত্যেকের উচিত স্বেচ্ছায় রক্ত প্রদান করা।’

১৫ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রক্তদাতা সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ১০, ২৫ ও ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এমন ১৭৩জন রক্তদাতাকে সনদপত্র, আইডি কার্ড, সম্মাননা ক্রেস্ট ও মেডেল দেয়া হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতা তারেক কুদ্দুস ও নিয়মিত রক্তগ্রহিতা থ্যালাসেমিয়া রোগী সুমাইয়া আক্তার সুমি অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন ব্যক্তি যখন মানবিক কারণে জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্ত দেন, তখন তিনি একটি জীবন বাচাঁন।

তিনি বলেন, কোনো রকম বিদেশি সাহায্য ছাড়াই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বহুমুখী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে বান্দরবানের লামা উপজেলার এতিম-বঞ্চিত শিশুদের জন্যে বিদ্যালয় অন্যতম। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন কোর্সের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রক্তদাতাদের কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ২৫ বা ৫০ বার রক্ত দিয়ে থেমে থাকবেন না। সুস্থতা সাপেক্ষে ৬০ বছর পর্যন্ত আপনারা রক্ত দিয়ে যাবেন এবং মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিকিৎসক নিজামউদ্দিন আহমদ জানান, দেশে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রক্ত আসে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কাছ থেকে। আর ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ রক্ত আসে রোগীর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধ-বান্ধবদের কাছ থেকে। বাকি রক্ত আসে পেশাদার রক্ত-বিক্রেতাদের কাছ থেকে, যা দূরারোগ্য ব্যাধির ক্ষেত্রে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

রক্তদাতা ও অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী।

উল্লেখ, ২০০০ সালে ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর কোয়ান্টাম এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১০ লাখ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে। সূত্র : বাসস