ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি : মির্জা ফখরুল ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি সহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলের আবেদন কমিশনে মাদারগঞ্জে ১২৮ জনকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিলো মোজাম্মেল মমতাজ ফাউন্ডেশন জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে ৫৮টি টিকিটসহ দুই টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার জামালপুরে বৈশাখী লোকনাট্য উৎসব শুরু : ধুয়া গানের আসরে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা গণঅধিকার পরিষদ বকশীগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ রোবডোজার গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের নতুন যুদ্ধ যন্ত্র ট্রাম্পের আমলে অতি ধনী ও টেক জায়ান্টদের ওপর কর আরোপ থেমে গেছে

জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে : ওবায়দুল কাদের

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেনো সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে (অফিসিয়ালি) এখনও কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আইনজীবী আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামাতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এটা স্পেকুলেশনের পর্যায়ে, আলোচনার পর্যায়ে, গুজব-গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমিত আছে। এখনও তারা অফিসিয়ালি ক্ষমা চায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন না। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে, তা বন্ধ হবে না। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের বিচার কাজ চলবে।’

জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়ের ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়গুলো তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ ধরনের খবর প্রকাশের পরও তাদের দলের ভেতরে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। সেটা তাদের বিষয়। এখনও তাদের কোনো বিষয়ই ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা ক্লিয়ার হোক, তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে।

জামায়াত নতুন নামে রাজনীতিতে আসতে পারে কিনা এমন কোন শঙ্কা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরান মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী। নতুন নামে পুরান আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবসরের কথা বলেছেন। এর আগেও তিনি অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের দাবির মুখে তিনি তা পারেননি। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই বলছেন, ‘আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম’। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। সেইসঙ্গে তাঁর কোনো বিকল্প সমসাময়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণেও নেই। ৭৫’ পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাঁকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সেজন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাঁকে বলেন স্টেটসম্যান। তবে এই পাঁচ বছরে তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকেন, আমার মনে হয় তার বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবেন, অসমর্থ হবেন, এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাঁকে ছাড়বে কিনা, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কিনা সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ

জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৮:২৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেনো সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে (অফিসিয়ালি) এখনও কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আইনজীবী আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামাতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এটা স্পেকুলেশনের পর্যায়ে, আলোচনার পর্যায়ে, গুজব-গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমিত আছে। এখনও তারা অফিসিয়ালি ক্ষমা চায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন না। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে, তা বন্ধ হবে না। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের বিচার কাজ চলবে।’

জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়ের ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়গুলো তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ ধরনের খবর প্রকাশের পরও তাদের দলের ভেতরে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। সেটা তাদের বিষয়। এখনও তাদের কোনো বিষয়ই ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা ক্লিয়ার হোক, তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে।

জামায়াত নতুন নামে রাজনীতিতে আসতে পারে কিনা এমন কোন শঙ্কা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরান মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী। নতুন নামে পুরান আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবসরের কথা বলেছেন। এর আগেও তিনি অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের দাবির মুখে তিনি তা পারেননি। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই বলছেন, ‘আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম’। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। সেইসঙ্গে তাঁর কোনো বিকল্প সমসাময়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণেও নেই। ৭৫’ পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাঁকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সেজন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাঁকে বলেন স্টেটসম্যান। তবে এই পাঁচ বছরে তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকেন, আমার মনে হয় তার বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবেন, অসমর্থ হবেন, এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাঁকে ছাড়বে কিনা, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কিনা সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।
সূত্র : বাসস