বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত হলেন কিংবদন্তি গীতিকার সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।খবর ডেইলি বাংলাদেশের।
২৩ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন তিনি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বুলবুলকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর এ আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, তথ্যমন্ত্রণালয়, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমিসহ আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক দল, জাসদ, বাসদ, বাংলাদেশ কমিউনি্স্ট পার্টিসহ আরো বেশ কিছু দল। ঢাকার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও তাকে শেষ শুভেচ্ছা জানায়।
ফুলে ফুলে ঢাকা কফিন ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল তার পরিবারের সদস্যরা। বুলবুলের বন্ধু-বান্ধবরাও ছিলেন। এ সময় গাজী মাজহারুল আনো য়ার, কুদ্দুস বয়াতী, খুরশীদ আলম, মনির খান, কুটমার বিশ্বজিৎ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফসহ প্রবীণ ও নবীন শিল্পীরা শুভেচ্ছা জানান।
এরআগে বেলা পৌনে ১১টায় বুলবুলের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সকাল ১১টার দিকে গার্ড অব অনার শেষে শহীদ মিনারের পাদদেশে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা শেষ তার মরদেহ নিয়ে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের উদ্দেশে রওনা হয়। এখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
এরপর সেখান থেকে বেলা সাড়ে তিনটায় বুলবুলের মরদেহ নেয়া হয় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানে কিছু প্রক্রিয়া শেষে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে সন্ধা সাতটার কিছুক্ষণ পর চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয় সংগীতাঙ্গনের গুণী এ মানুষটিকে।
২২ জানুয়ারি ভোর ৪টার দিকে আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৬৩ বছর বয়সী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ