ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত যুবক ইউসুফ আকন্দ (৩২) ঘটনার তিনদিন পর মারা গেছেন। রাজধানী ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর রাত আড়াইটায় তার মুত্যু হয়।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে এক সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে নিহত জাহিদের চাচাতো ভাই ইউসুফ আকন্দ ও আসামি পক্ষের তোফাজ্জল হোসেন মিলিটারির মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে আহত হয় প্রায় অর্ধশত। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউসুফ আকন্দকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে রাজধানীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল।

তার ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন জানান, ইউসুফ আকন্দ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নরপাড়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। গর্ভবতী স্ত্রী রেখে মৃত্যু হওয়ায় ইউসুফের পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক মোহব্বত কবীর বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। নিয়মানুযায়ী ঢাকাতেই নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:৪৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত যুবক ইউসুফ আকন্দ (৩২) ঘটনার তিনদিন পর মারা গেছেন। রাজধানী ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর রাত আড়াইটায় তার মুত্যু হয়।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে এক সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে নিহত জাহিদের চাচাতো ভাই ইউসুফ আকন্দ ও আসামি পক্ষের তোফাজ্জল হোসেন মিলিটারির মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে আহত হয় প্রায় অর্ধশত। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউসুফ আকন্দকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে রাজধানীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল।

তার ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন জানান, ইউসুফ আকন্দ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নরপাড়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। গর্ভবতী স্ত্রী রেখে মৃত্যু হওয়ায় ইউসুফের পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক মোহব্বত কবীর বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। নিয়মানুযায়ী ঢাকাতেই নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।