জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উঠান বৈঠকসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে জনসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনি ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে এক উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
উঠান বৈঠকে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশে মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ‘অবহেলিত এ ইসলামপুরকে বন্যামুক্ত ঘোষণার জন্য যা যা করা দরকার আমি করে দিবো। আমাকে এমপিগিরির টাকা পকেটে ঢুকাতে হবে না। আমি আপনাদের খাদেম হওয়ার জন্য আসছি। প্রভু হওয়ার জন্য নয়। ইসলামপুরের বেকার যুবকদের আমি নিজে খুঁজে খুঁজে বের করে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবো। আমাকে ঘুষ দিতে হবে না। এ উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করে দিবো। সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র ও ঘুষমুক্ত সমৃদ্ধ ইসলামপুর গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমি প্রার্থী হয়েছি।’
পরে তিনি এ আসনের ডিগ্রিরচর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে পথসভা, উঠান বৈঠকে অংশ নেন। তিনি স্থানীয় ভোটার-জনতার সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং লাঙল প্রতীকের ভোট প্রার্থনা করে ইসলামপুরের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রসঙ্গত, ইসলামপুর আসনে এবার আওয়ামী লীগের মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ ই সুলতান মাহমুদ বাবু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী মনজুরুল আহসান খান ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ মো. মিনহাজ উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।