ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেলান্দহ মুক্ত দিবস ৮ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

৮ ডিসেম্বর জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর এই দিন বিকেলে উমির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুল মাঠে আলম কোম্পানির টু-আইসি (পরবর্তীতে সেঙ্গাপাড়া কোম্পানি) অধিনায়ক আব্দুল করিম প্রথম পতাকা উত্তোলনের মাধ্যদিয়ে মেলান্দহকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক অধিনায়ক এস এম আব্দুল মান্নান ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও পালন করা হয়েছে দিবসটি।

১৯৭১ এর এই দিনে তৎকালীন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোনাব আলী ও তার সহযোগী আব্দুল হক আকন্দ, নুরুর রহমান সরকার, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, আব্দুল গেনা, করিম ভেদা, আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ আলী, শমসের আলী, শহিদুল্লাহ, হাশেমসহ মোট ৪৬ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে।

মুক্তিযুদ্ধে মেলান্দহ সদর, মাহমুদপুর পয়লাতে দু’টি সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। মাহমুদপুর যুদ্ধক্ষেত্রে করিমের সহযোদ্ধা ইউসুফ আলীর ব্রাশ ফায়ারে ১২ পাক সেনা নিহত হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা রমিজ, সমরসহ বেসামরিক ৮-১০জন লোকের প্রাণহানি ঘটে। পাকবাহিনীরা কলাবাধা হাই স্কুলের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুসকে ইসলামপুরে নিয়ে জুতোর মালা পরিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ শ্লোগান দিতে বাধ্য করে। নির্মম নির্যাতনের মধ্যদিয়ে তাকে জামালপুর কালিরঘাটে হত্যা করে। খবরটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সম্প্রচারিতও হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মেলান্দহ মুক্ত দিবস ৮ ডিসেম্বর

আপডেট সময় ০৭:২১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

৮ ডিসেম্বর জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর এই দিন বিকেলে উমির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুল মাঠে আলম কোম্পানির টু-আইসি (পরবর্তীতে সেঙ্গাপাড়া কোম্পানি) অধিনায়ক আব্দুল করিম প্রথম পতাকা উত্তোলনের মাধ্যদিয়ে মেলান্দহকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক অধিনায়ক এস এম আব্দুল মান্নান ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও পালন করা হয়েছে দিবসটি।

১৯৭১ এর এই দিনে তৎকালীন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোনাব আলী ও তার সহযোগী আব্দুল হক আকন্দ, নুরুর রহমান সরকার, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, আব্দুল গেনা, করিম ভেদা, আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ আলী, শমসের আলী, শহিদুল্লাহ, হাশেমসহ মোট ৪৬ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে।

মুক্তিযুদ্ধে মেলান্দহ সদর, মাহমুদপুর পয়লাতে দু’টি সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। মাহমুদপুর যুদ্ধক্ষেত্রে করিমের সহযোদ্ধা ইউসুফ আলীর ব্রাশ ফায়ারে ১২ পাক সেনা নিহত হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা রমিজ, সমরসহ বেসামরিক ৮-১০জন লোকের প্রাণহানি ঘটে। পাকবাহিনীরা কলাবাধা হাই স্কুলের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুসকে ইসলামপুরে নিয়ে জুতোর মালা পরিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ শ্লোগান দিতে বাধ্য করে। নির্মম নির্যাতনের মধ্যদিয়ে তাকে জামালপুর কালিরঘাটে হত্যা করে। খবরটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সম্প্রচারিতও হয়।