নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠি ডটকম
‘নারীর কথা শুনবে বিশ্ব: কমলা রঙে নতুন দৃশ্য’ এই আওয়াজ তুলে ২৫ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর ১৫ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ। এবারের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের মূল অঙ্গীকার হচ্ছে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা আছি একসাথে।
এ উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় স্থানীয় বকুলতলা মোড়ে সমবেত হয় বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ। এখানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন শেষে শহরে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা হাকিম মো. শফিকুল ইসলাম।
উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ জেলা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, নারীনেত্রী আইনজীবী শামীম আরা, ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি ফয়েজুর রহমান, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির আস্থা প্রকল্পের সমন্বয়কারী ছানোয়ার হোসেন খান পাঠান, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, ছাত্রী প্রতিনিধি আফরিন খান, নারী প্রতিনিধি লাইলী বেগম, পুরুষ প্রতিনিধি কাউছার আহম্মেদ, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি রাসেল মিয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের চেয়ে সামাজিক সচেতনতাই অধিক কার্যকর’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ও সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় আশেক মাহমুদ কলেজ এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা হিসেবে নির্বাচিত জাহেদা সফির মহিলা কলেজের দলনেতা আফরিন খান। পরে উভয় দলের বিতার্কিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজিব কুমার সরকার। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়, অন্যান্য বিচারকমন্ডলী, কলেজের অধ্যাপকবৃন্দ ও দুই কলেজের ছাত্র, ছাত্রীরা।
জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে আস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি, ইউএনএফপিএ ও আইন ও সালিস কেন্দ্র। এতে আর্থিক সহায়তা করবে কিংডম অফ দ্যা নেদারল্যান্ড।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে অংশ নেয় উন্নয়ন সংঘ, ব্র্যাক, অপরাজেয় বাংলাদেশ, মহিলা পরিষদ, নারীপক্ষ, দুর্বার নেটওয়ার্ক, এফপিএবি, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থা, সৃষ্টি মহিলা সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ, পক্ষকালব্যাপী অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ৫ ডিসেম্বর পুরুষ প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সভা এবং ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সাইকেল শোভাযাত্রা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জয়িতাদের ক্রেস্ট প্রদান, সংবাদ সম্মেলন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি অংশ নিবেন বলে আয়োজক সংস্থা সূত্র জানায়।