ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তি বজায় রাখতে আলেমদের ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শোকরানা মাহফিলে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহিত

শোকরানা মাহফিলে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহিত

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
সমাজে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার কোনোভাবেই ইসলাম এবং রাসুল (সা:) এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপপ্রচার বরদাশত করবে না।

প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে বলেন, গুটিকতক লোক ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে আজকে সারাবিশ্বে ইসলাম ধর্মকে বদনাম দিচ্ছে। অথচ, ইসলাম কখনও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুণরোল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশে কোন জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। সন্ত্রাসের স্থান হবে না। মাদকের স্থান হবে না। দুর্নীতির স্থান হবে না। বাংলাদেশ হবে একটা শান্তিপূর্ণ, উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে কওমী মাদরাসার আলেমদের শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

কওমী মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দিয়ে বর্তমান সরকার জাতীয় সংসদে আইন পাশ করায় ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমী বাংলাদেশ’ এই শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করে।

কোন আন্তর্জাতিক ফোরামে কেউ ‘ইসলামি টেররিষ্ট’ বললে তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম সন্ত্রাস লালন করে না, আর সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নেই, দেশ নাই, সমাজ নাই, তাদের পরিচয় এই যে, সে তারা সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রকৃত ইসলামে বিশ্বাস করে তারা কখনও সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী হতে পারে না।

আল্লাহতায়ালা আমাদের অনেক নেয়ামত দিয়েছেন এবং তা দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই উল্লেখ করে সরকার প্রধান সোশ্যাল মিডিয়ার নানা ধরনের অপপ্রচার এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যে কোন বিষয়ে প্রকৃত সত্য যাচাই করে দেখার পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচার কেউ বিশ্বাস করবেন না। ইতোমধ্যে এই অপপ্রচার প্রতিরোধে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরী করেছি। কেউ যদি কোন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয় তাহলে সাখে সাথে সেই আইনদ্বারা তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ধর্ম ইসলাম এবং নবী করিম (সা:) সম্পর্কে কেউ কোন কটু কথা বললে সেই আইন দ্বারাই তার বিচার হবে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইন কাউকে নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেব না, আইন দ্বারাই তাদের বিচার করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেব যাতে কখনও তারা এধরনের অপপ্রচার চালাতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকা উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে বলেন, দেশের শান্তি বিঘ্নিত হোক তা আমরা চাই না, দেশে শান্তি বজায় থাকলেই উন্নতি হবে। আর উন্নতি বজায় থাকলে সকলেই লাভবান হবে।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি বজায় রাখতে আলেমদের ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৬:২৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৮
শোকরানা মাহফিলে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহিত

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
সমাজে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার কোনোভাবেই ইসলাম এবং রাসুল (সা:) এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপপ্রচার বরদাশত করবে না।

প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে বলেন, গুটিকতক লোক ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে আজকে সারাবিশ্বে ইসলাম ধর্মকে বদনাম দিচ্ছে। অথচ, ইসলাম কখনও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুণরোল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশে কোন জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। সন্ত্রাসের স্থান হবে না। মাদকের স্থান হবে না। দুর্নীতির স্থান হবে না। বাংলাদেশ হবে একটা শান্তিপূর্ণ, উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে কওমী মাদরাসার আলেমদের শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

কওমী মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দিয়ে বর্তমান সরকার জাতীয় সংসদে আইন পাশ করায় ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমী বাংলাদেশ’ এই শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করে।

কোন আন্তর্জাতিক ফোরামে কেউ ‘ইসলামি টেররিষ্ট’ বললে তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম সন্ত্রাস লালন করে না, আর সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নেই, দেশ নাই, সমাজ নাই, তাদের পরিচয় এই যে, সে তারা সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রকৃত ইসলামে বিশ্বাস করে তারা কখনও সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী হতে পারে না।

আল্লাহতায়ালা আমাদের অনেক নেয়ামত দিয়েছেন এবং তা দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই উল্লেখ করে সরকার প্রধান সোশ্যাল মিডিয়ার নানা ধরনের অপপ্রচার এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যে কোন বিষয়ে প্রকৃত সত্য যাচাই করে দেখার পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচার কেউ বিশ্বাস করবেন না। ইতোমধ্যে এই অপপ্রচার প্রতিরোধে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরী করেছি। কেউ যদি কোন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয় তাহলে সাখে সাথে সেই আইনদ্বারা তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ধর্ম ইসলাম এবং নবী করিম (সা:) সম্পর্কে কেউ কোন কটু কথা বললে সেই আইন দ্বারাই তার বিচার হবে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইন কাউকে নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেব না, আইন দ্বারাই তাদের বিচার করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেব যাতে কখনও তারা এধরনের অপপ্রচার চালাতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকা উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে বলেন, দেশের শান্তি বিঘ্নিত হোক তা আমরা চাই না, দেশে শান্তি বজায় থাকলেই উন্নতি হবে। আর উন্নতি বজায় থাকলে সকলেই লাভবান হবে।
সূত্র : বাসস