রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াসহ সংকট মোকাবিলায় দূরদর্শী ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলার চিঠি ডটকম ডেস্ক॥
মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াসহ সংকট মোকাবিলায় দূরদর্শী ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ইন্টার প্রেস সার্ভিস।
একই ভূমিকার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর আলাদা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার দুটি তুলে দেয়া হয়।
মানবিক কারণে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে ‘নজির স্থাপন করায়’ ইন্টার প্রেস সার্ভিস শেখ হাসিনাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেয়।
পুরস্কার দুটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করে শেখ হাসিনা বলেন, সব দেশেরই উচিত নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এর আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস বুট্রোস-ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্তি আহতিসারি এ পুরস্কার পান।
আর দাতব্য সংগঠন ‘গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন’ শেখ হাসিনাকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ সম্মাননা দেয়া হয় রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে’।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ অাগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আসা আরো প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বাংলাদেশ বহন করছে কয়েক দশক ধরে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করলেও সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেনি দেশটি।
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে গতবছর সাধারণ অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আয়োজিত ইন্টার প্রেস সার্ভিসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক উইলিয়াম লুসি সুইং।
এরপর রাতে নিউইয়র্কের পার্ক এভিনিউয়ে আরেক অনুষ্ঠানে গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের সম্মানীয় প্রেসিডেন্ট ইরিনা বোকোভা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু ইসুফু, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজি কাইদ এসেবসি এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস ও এই পুরস্কার পেয়েছেন।
সম্মাননা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমারে, তাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ আহমেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ
সর্বশেষ
- ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের ওপর আঘাতের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন : তথ্যমন্ত্রী
- ২৬ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও আয়ারল্যান্ড উলভস
- টিকা নিয়েছেন রওশন এরশাদ
- দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্তের হার কমেছে, বেড়েছে সুস্থতা
- দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে : মেরিন গ্রাজুয়েটদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
- সরিষাবাড়ীতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ৪২ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা অফিস পিয়ন
- বকশীগঞ্জে করোনাকালীন দুর্যোগে জিআর কার্যক্রম নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত
- ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় আগ্রহী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
- দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ওবায়দুল কাদের
- টিকা নিলেন শেখ রেহানা
- বিএনপির প্রার্থীর মিথ্যাচারের প্রতিবাদে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংবাদিক সম্মেলন
- জামালপুরে গ্রাম আদালতে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ আদায়
- আল্লাহ যেমন গজব দেন, তেমনি সুরক্ষার ব্যবস্থাও তিনি করেন : মতিয়া চৌধুরী
- থিয়েটার অঙ্গনের নাটক ‘একটি তুলশীগাছের কাহিনী’ এর সফল মঞ্চায়ন
- সরিষাবাড়ীতে চোলাই মদসহ আটক ১