ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয়ভাবে গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় জেলা তথ্য অফিসসমূহকে কাজ করতে হবে : তথ্য উপদেষ্টা ভবিষ্যতে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দেখতে চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ ইন্টারনেট সেবার দাম কমানোর ঘোষণা সামিটের ইথিওপিয়ার সাড়ে ৬ লাখ নারী ও শিশুর খাদ্য সহায়তা বন্ধ ডব্লিউএফপি’র পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ১৩ উবারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সাবস্ক্রিপশন কৌশলের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে শান্তর হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ কোপা ডেল রে’র ফাইনালে ফেরার লক্ষ্য এমবাপ্পের : আনচেলত্তি সরিষাবাড়ীতে যুবদলনেতা ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত

প্রতারণার অভিযোগে ব্যুরো বাংলাদেশের মাঠকর্মী আব্দুস ছামাদ জেল হাজতে

আব্দুস ছামাদ

আব্দুস ছামাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর॥
চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতারণার মামলায় আব্দুস ছামাদ নামে ব্যুরো বাংলাদেশ, গুলশান শাখার এক মাঠকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন জামালপুর সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। আব্দুস ছামাদ জামালপুর সদর উপজেলার পশ্চিমপাড় দিঘুলী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।

প্রতারণার শিকার জামালপুর সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে সাইদুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন, পার্শবর্তী গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যুরো বাংলাদেশ এর মাঠকর্মী আব্দুস সামাদ একই ব্যাংকে একই পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা অগ্রিম নেন। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ৩ মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নেয়া হলেও দীর্ঘ দেড় বছরও চাকরি নিয়ে দিতে পারেনি আব্দুস ছামাদ। এক পর্যায়ে সাইদুল ইসলাম তার টাকা ফেরৎ চাইলে আব্দুস ছামাদ তালবাহানা শুরু করে। অবশেষে গত ১ এপ্রিল জামালপুর সদর আমলী আদালতে ৪০৬/৪২০ ধারায় আব্দুস ছামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন সাইদুল ইসলাম। উক্ত মামলা দায়েরের পর আব্দুস ছামাদ টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি দেন।

সাইদুল ইসলামের অভিযোগ, আদালতের তিনটি ধার্য্য তারিখ অতিবাহিত হলেও টাকা দিতে ব্যর্থ হন আব্দুস ছামাদ। প্রতারক আব্দুস ছামাদ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে গত ৩ জুলাই আদালতে হাজিরা শেষে এক সাথে বাড়ি ফেরার পথে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি অপহরণের মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাৎক্ষণিক তাকে এবং মামলার স্বাক্ষী আরিফ হোসেনকে পুলিশ দিয়ে আটক করে। এই মামলায় দীর্ঘ ১৭ দিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তিপান তারা। বাদী সাইদুল ইসলাম গত ৯ সেপ্টেম্বর ধার্য্য তারিখে হাজির হয়ে বিষয়টি আদালতের বিজ্ঞ বিচারককে অবহিত করেন। বিবাদী আব্দুস ছামাদ ধার্য্য তারিখে টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে বিজ্ঞ বিচারক আব্দুস ছামাদকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রতারণার অভিযোগে ব্যুরো বাংলাদেশের মাঠকর্মী আব্দুস ছামাদ জেল হাজতে

আপডেট সময় ০৮:৫২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
আব্দুস ছামাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর॥
চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতারণার মামলায় আব্দুস ছামাদ নামে ব্যুরো বাংলাদেশ, গুলশান শাখার এক মাঠকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন জামালপুর সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। আব্দুস ছামাদ জামালপুর সদর উপজেলার পশ্চিমপাড় দিঘুলী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।

প্রতারণার শিকার জামালপুর সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে সাইদুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন, পার্শবর্তী গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যুরো বাংলাদেশ এর মাঠকর্মী আব্দুস সামাদ একই ব্যাংকে একই পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা অগ্রিম নেন। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ৩ মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নেয়া হলেও দীর্ঘ দেড় বছরও চাকরি নিয়ে দিতে পারেনি আব্দুস ছামাদ। এক পর্যায়ে সাইদুল ইসলাম তার টাকা ফেরৎ চাইলে আব্দুস ছামাদ তালবাহানা শুরু করে। অবশেষে গত ১ এপ্রিল জামালপুর সদর আমলী আদালতে ৪০৬/৪২০ ধারায় আব্দুস ছামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন সাইদুল ইসলাম। উক্ত মামলা দায়েরের পর আব্দুস ছামাদ টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি দেন।

সাইদুল ইসলামের অভিযোগ, আদালতের তিনটি ধার্য্য তারিখ অতিবাহিত হলেও টাকা দিতে ব্যর্থ হন আব্দুস ছামাদ। প্রতারক আব্দুস ছামাদ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে গত ৩ জুলাই আদালতে হাজিরা শেষে এক সাথে বাড়ি ফেরার পথে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি অপহরণের মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাৎক্ষণিক তাকে এবং মামলার স্বাক্ষী আরিফ হোসেনকে পুলিশ দিয়ে আটক করে। এই মামলায় দীর্ঘ ১৭ দিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তিপান তারা। বাদী সাইদুল ইসলাম গত ৯ সেপ্টেম্বর ধার্য্য তারিখে হাজির হয়ে বিষয়টি আদালতের বিজ্ঞ বিচারককে অবহিত করেন। বিবাদী আব্দুস ছামাদ ধার্য্য তারিখে টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে বিজ্ঞ বিচারক আব্দুস ছামাদকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।