ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের সাক্ষাৎ অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে: মাহফুজ আলম পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৎপরতায় রোহিঙ্গা সংকট বৈশ্বিক আলোচনায় ফিরেছে : প্রেস সচিব ইস্তাম্বুলের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত কাশ্মীরে হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ ইরানের আছে ‘অতি গোপনীয়’ এআই সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র : ইরানি জেনারেল সাত বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারল বাংলাদেশ

বাঁশচড়ায় চাচাকে কুপিয়ে হত্যা, ভাতিজার আত্মসমর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর॥
জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ভাতিজা খালিদ হাসান চৌধুরী স্মরণ (২৪)। ২৪ আগস্ট রাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত চাচা মাজহারুল ইসলাম ছোটন (৩০) বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মাজহারুল চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আপন চাচাতো ভাই ফজলুল হকের মেয়ে লোবানা আক্তার লিপুকে বিয়ে করেন। বিতর্কিত এই বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে মাজহারুল গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি নিয়ে ঢাকাতেই থাকতেন। গত প্রায় তিন মাস ধরে মাজহারুল স্ত্রী লোবানাকে নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নবাবপুরে এসে বসবাস করছিলেন।

মাজহারুল ২৪ আগস্ট রাতে তার স্ত্রী লোবানাকে নিয়ে তাদের বাড়ির কাছেই এক চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে রাত সোয়া ১২টার দিকে অজ্ঞাত কয়েকজন দুর্বৃত্ত মাজহারুলকে তার বসতঘরের পাশেই একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সারা শরীর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির স্বজনরা ছুটে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

২৫ আগস্ট দুপুরে পুলিশ জানিয়েছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ার পর নিহত মাজহারুলের লাশ জামালপুরে আনা হবে।

এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের ভাতিজা খালিদ রাতেই স্থানীয় নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশের কাছে খুনের দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খালিদ চাচা-ভাতিজি বিয়ে নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরেই চাচাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারুক্তি অনুযায়ী পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরকেও খুঁজছে।

সদরের নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সাদির উদ্দিন বাংলারচিঠি ডটকম বলেন, নিহত মাজহারুলের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানেই ময়নাতদন্ত হবে। খুনের দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণকারী খালিদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু

বাঁশচড়ায় চাচাকে কুপিয়ে হত্যা, ভাতিজার আত্মসমর্পণ

আপডেট সময় ০৩:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর॥
জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ভাতিজা খালিদ হাসান চৌধুরী স্মরণ (২৪)। ২৪ আগস্ট রাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত চাচা মাজহারুল ইসলাম ছোটন (৩০) বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মাজহারুল চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আপন চাচাতো ভাই ফজলুল হকের মেয়ে লোবানা আক্তার লিপুকে বিয়ে করেন। বিতর্কিত এই বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে মাজহারুল গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি নিয়ে ঢাকাতেই থাকতেন। গত প্রায় তিন মাস ধরে মাজহারুল স্ত্রী লোবানাকে নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নবাবপুরে এসে বসবাস করছিলেন।

মাজহারুল ২৪ আগস্ট রাতে তার স্ত্রী লোবানাকে নিয়ে তাদের বাড়ির কাছেই এক চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে রাত সোয়া ১২টার দিকে অজ্ঞাত কয়েকজন দুর্বৃত্ত মাজহারুলকে তার বসতঘরের পাশেই একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সারা শরীর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির স্বজনরা ছুটে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

২৫ আগস্ট দুপুরে পুলিশ জানিয়েছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ার পর নিহত মাজহারুলের লাশ জামালপুরে আনা হবে।

এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের ভাতিজা খালিদ রাতেই স্থানীয় নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশের কাছে খুনের দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খালিদ চাচা-ভাতিজি বিয়ে নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরেই চাচাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারুক্তি অনুযায়ী পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরকেও খুঁজছে।

সদরের নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সাদির উদ্দিন বাংলারচিঠি ডটকম বলেন, নিহত মাজহারুলের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানেই ময়নাতদন্ত হবে। খুনের দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণকারী খালিদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।