বঙ্গমাতার আদর্শ ও দৃষ্টান্ত বাঙালি নারীর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস : প্রধানমন্ত্রী
বাংলার চিঠি ডটকম ডেস্ক॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার কারণে জাতি তাঁকে যথার্থই ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ আগস্ট দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন ।
বঙ্গমাতার ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব-এর জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, এই মহীয়সী নারী ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি জাতির পিতার সঙ্গে একই স্বপ্ন দেখতেন।। এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবনের অধিকারী হোক, ভালোভাবে বাঁচে থাকুক- এ প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় তৎপর ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্বাধীন দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাইতো একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজনের প্রতি দায়িত্বপালন করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়শঃই কারাগারে বন্দি থাকতেন। এই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয়-দফা ও এগার-দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার সঙ্গে তিনিও সপরিবারে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন, যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।সূত্র : বাসস
সর্বশেষ
- ৬০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- দোয়া ও কোরআনের বরকতে মহামারি থেকে রক্ষা করেছেন আল্লাহ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
- সংগীতশিল্পী জানে আলম আর নেই
- বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ : প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ এবছর কোভ্যাক্স থেকে ৭ কোটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাচ্ছে
- দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, সুস্থ ৯৩৬
- বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- বকশীগঞ্জে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সাথে জনতার সংলাপ অনুষ্ঠিত
- দক্ষিণ সুদানে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১০
- জামালপুরে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত
- জনগণের জন্য খাদ্য, বাসস্থান ও টিকার প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
- দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৭ জনের মৃত্যু
- একাত্তরের ৩ মার্চের জনসভাতেও বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কথা বলেন
- শ্রীপুরে অসহায় আশ্রিতদের ১০টি ঘর পুড়ে ছাই
- বকশীগঞ্জে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত