সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কারণে বিশ্বে আজ বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি জঙ্গী, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমনে কাজ করছেন। তিনি জানেন আইন-শৃংখলার উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়নের সুফল পাওয়া যায়না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১ নভেম্বর সকালে বাগেরহাট স্টেডিয়ামে এলিট ফোর্স র‌্যাব-৬ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনের জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালসহ পর্যটকদের জীবন বিপন্নকারী জলদস্যু দমনে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার যথাযত বাস্তবায়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, র‌্যাব, কোষ্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে এ সফলতা ধরে রাখতে নিরলসকাজ করে যাচ্ছে। এরপরও যদি কেউ সুন্দরবনে পুনরায় দস্যুবৃত্তি করার চেষ্টা করে তার পরিনতি হবে ভয়াবহ।

তিনি আরো বলেন, সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ দিয়ে কেউ অপরাধীদের শেল্টার দিলে তাকেও আইনের আওয়তায় আনা হবে। এসময় মন্ত্রী আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু ও বনদস্যুদের নামের মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।

খুলনা র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে: কর্নেল মো: নুরুস সালেহীনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য ডা: মোজাম্মেল হোসেন, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, মো: শামসুল আলম টুকু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, গ্লোরি ঝর্না সরকার, স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

নির্যাতিত জেলেদের পক্ষ থেকে জলদস্যুদের নির্যাতনের ধরন বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন জেলে তোফজ্জেল সরদার ও আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু ডন বাহিনী প্রধান মেহেদী হাসান ডন।

গত বছরের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ৬টি বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত’র ঘোষণা দেন।

সুন্দরবন জল দস্যুমুক্ত ঘোষণার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে র‌্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী র‌্যাব অভিযানে শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৪৬ টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছে।

এতে ৫৮৬ জন জলদস্যু গ্রেপ্তার, ১ হাজার ৭৮০ টি অস্ত্র ও ৪১ হাজার ৯৫৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। অভিযান করতে গিয়ে দস্যুদের সাথে গোলাগুলিতে ১৬৩ জন দুস্যু নিহত হয়েছে।

২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ১ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের ৩২ টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু, ৪৬২ টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গুলি দিয়ে র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

এছাড়াও র‌্যাব ৯টি জীবিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার শাবক, ২৩ টি টাইগারের চামড়া, ২৯ টি জীবিত হরিন, ১২৯ টি হরিনের চামড়া ও বিপুল পরিমাণ বন্যপশু ও পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে র‌্যাবের অভিযান ও সুন্দরবন নিয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় চিত্রনায়ক রিয়াজসহ শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।সূত্র:বাসস।