দেওয়ানগঞ্জে পুষ্টি চাহিদা পূরণে উপকারভোগীদের মাঝে মুরগি বিতরণ

দেওয়ানগঞ্জে আইওয়াইসিএফ এর উপকারভোগীদের মাঝে মুরগি বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

গর্ভবতী মা, প্রসূতি মা এবং দুই বছরের নীচে শিশুদের প্রাণিজ আমিষের মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সংঘের এনএসভিসি প্রকল্পের আওতায় ইনফ্যান্ট এন্ড ইয়ং চাইল্ড ফিডিং (আইওয়াইসিএফ) এর উপকারভোগীদের মাঝে মুরগি বিতরণ করা হয়েছে। ১১ জুন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের খোলাবাড়ি গ্রামে মুরগি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, উপজেলা সমন্বয়কারী শরীফ উদ্দীনসহ সংস্থার অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাাস্তবায়নাধীন দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার দুই হাজার ১৫টি পরিবারের মাঝে মোট আট হাজার ৬০টি মুরগি এবং দুই হাজার ১৫টি মোরগ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি পরিবারে চারটি মুরগি ও একটি মোরগ দেওয়া হয়। প্রতিটি মুরগির ওজন ৭৫০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রামের মধ্যে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুরগিগুলো ওজন করে দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত ওজনের কম হলে ভেন্ডারকে ফেরত দেওয়া হয় বলে বিতরণকারীরা জানান। ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ বয়সী মুরগি দেওয়ার সাথে সাথে মুরগি পালনের নিয়মাবলী জানানো হয়। ২০ সপ্তাহ বয়স হলে মুরগিগুলো ডিম দেওয়া শুরু করবে বলে জানা যায়।

মুরগি পেয়ে উপকারভোগীরা সারিবদ্ধভাবে বসে আছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মুরগি পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত উপকারভোগীরা জানান, নিজেদের পুষ্টি পূরণের পাশাপাশি সংসারে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম মোল্লা বলেন, জামালপুরের পুষ্টি পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। এই অবস্থা উত্তরণে আমরা এনএসভিসি প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সুস্থ মা সবল শিশু অর্জনে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর সদর উপজেলায় একই কাজ করছে বলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান।