জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বিপ্লব মিয়া (২৬) নামের একজন যুবককে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। বিপ্লব মিয়া উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চখারচর গ্রামের আমের আলীর ছেলে।
জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চখারচর গ্রামের দিনমুজুরের মেয়ে এক তরুণীর সাথে ঢাকায় এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর নববধূ তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি চখারচর বেড়াতে আসেন। ১৭ জুন, মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রী বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন।
এ সময় চখারচর গ্রামের শাহাজলের ছেলে আলিম (২৭), শিক্ষক কবিরুলের ছেলে বিদ্যালয়ের ঝাড়ুদার রিপন (২৬), আমের আলীর ছেলে বিপ্লব (২৬) মিরাজুলের ছেলে খলিল (২৫) নববধূর স্বামীকে মারপিট করে ওই নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডি ধারণ করেন। নববধূ দম্পতি লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে গোপন রেখে ঢাকায় চলে যান।
কিছুদিন পর ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও তরুণীকে পাঠিয়ে আবারও কুপ্রস্তাব দেয় ধর্ষকেরা। বিষয়টি নববধূ তার মাকে জানালে তার মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ২০ সেপ্টেম্বর, শনিবার দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা জানান, তারা সপরিবারে ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঢাকায় তার মেয়ের বিয়ে হয়।, বিয়ের পর বাবার বাড়িতে বেড়াতে এলে ওই চারজনে তার মেয়েকে গণধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পুনরায় কুপ্রস্তাব দিলে তার মেয়ে তাকে জানায়। এরপর তিনি দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে বিপ্লব মিয়াকে কোনাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার জামালপুরের জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। একই সাথে আসামিদের তিনদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। মামলাটির অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।