বন্যায় বিকল্প সড়কে ধস, দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বন্যায় সানন্দবাড়ী-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক ভেঙে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল
নিজস্ব প্রতিবেদক, দেওয়ানগঞ্জ, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা জিঞ্জিরাম, ব্রহ্মপুত্র, দশানী নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার চরআমখাওয়া, হাতীভাঙ্গা, বাহাদুরাবাদ, চিকাজানি, চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জানা গেছে, যমুনা ও জিঞ্জিরাম নদে পানি বৃদ্ধির ফলে দেওয়ানগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ নৌ থানা রোড খোলাবাড়ী ও সানন্দবাড়ী-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যস্ততম সড়কটি ভাঙনের ফলে রাজিবপুর-দেওয়ানগঞ্জ-জামালপুরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও উপজেলার চারটি ইউনিয়নসহ পাশের রাজিবপুরগামী যাত্রীরা।

বন্যায় ভেঙ্গে গেছে খোলাবাড়ী সেতুর সংযোগ সড়ক। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের কাঠারবিল মহারানী সেতুর স্থানে নির্মাণাধীন মহারানী সেতুর বিকল্প রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাশের কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষসহ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার উত্তরের চারটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মিনিবাস, পিকআপ, সিএনজিসহ শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ভুগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত পথচারী ও যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা। এছাড়াও চিকাজানি ইউনিয়নের ডাকাতিয়াপাড়া এলাকায় সেতুর সড়ক ধসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, দেওয়ানগঞ্জ থেকে সানন্দবাড়ী হয়ে রাজিবপুর সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহারানী সেতুর বিকল্প রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় উপজেলার ডাংধরা, চরআমখাওয়া, পাররামরামপুর, হাতিভাঙা এই চারটি ইউনিয়নবাসীসহ রাজিবপুরবাসী সড়কপথে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদকে অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহাম্মেদ জানান, জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স এ প্রতিবেদককে জানান, পানিবন্দি পরিবারদের মানুষদের বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্পে নেওয়া হয়েছে।