ইসলামপুরে বন্যায় যমুনার ভাঙনে বিলীন তিন শতাধিক বাড়িঘর

যমুনার দুর্গম মন্নিয়ারচরে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ইসলামপুর, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় কয়েকদিনে অবিরাম ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর, পার্থশী ও পলবান্ধা ইউনিয়নের ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে, গত কয়েকদিনে যমুনা নদীভাঙনে তিন শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

বন্যার পানিতে ডুবে গেছে আমতলী বাজার-ডেঙ্গারগড় রাস্তা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়া, সিন্দুরতলী, শিলদহ, সাপধরী ইউনিয়নের চেংগানিয়া, মন্ডলপাড়া, কাঁসারী ডোবা, আকন্দপাড়া, কুলকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা, বেড়কুশা, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের টগা, হাড়গিলা, চিনাডুলী ইউনিয়নের নন্দনের পাড়, দেওয়ানপাড়া ও শিংভাঙ্গা এলাকায় যমুনার তীব্র ভাঙ্গন ও সদর ইউনিয়নের পচাবহলা যমুনার শাখা নদী ভাঙ্গনের, গাইবান্ধা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চন্দনপুর গ্রামে দশআনী নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। তীব্র ভাঙনে দিশাহারা নদীপাড়ে মানুষগুলো।

বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চিনাডুলি এসএন উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, মন্নিয়া, সিন্দুরতলী, শিলদহ গ্রামের প্রায় ৩০০ বসতভিটা যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। তারা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতন জীবন যাপন করছে। ইতিমধ্যে তাদের প্রশাসন ৬ মেট্রিক টন চাল ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৩০০ প্যাকেট ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিরাজুল ইসলাম জানান, নদীভাঙন পরিবারদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। ইতিমধ্যে তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি মহোদয়কে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করবেন।