নকলায় আরও ১০ ভিক্ষুক পেলেন ‘বিকল্প কর্মসংস্থান ব্যবস্থা’

মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু
নিজস্ব প্রতিবেদক, নকলা (শেরপুর), বাংলারচিঠিডটকম

ভিক্ষুকমুক্ত শেরপুরের নকলা উপজেলা গড়ার প্রত্যয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে আরও ১০ জন ভিক্ষুককে মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দেওয়া হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এই দোকানঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। এর আগে গত ২০ মার্চ ৫ ভিক্ষুককে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

৩ জুলাই বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসব উপহার তুলে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এ কে এম মাহবুবুল আলম সোহাগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন।

এসময় জেলা পরিষদের সদস্য সানোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হামযা কনক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাকী আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ, যায়যায়দিনের সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলুসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

রেহারচর গ্রামের উপকারভোগী মনোয়ারা বেগম ও পাচকাহনিয়া গ্রামের ফুলজান বলেন, আমি কোন কাজকর্ম করতে পারি না। তাই ১০ বছর যাবৎ ভিক্ষাবৃত্তি করে ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে হাত পেতে নিয়ে কোনোমতন সংসার চালাইতাম। এখন স্যারেরা মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দিয়েছেন। এখন আর ভিক্ষা করার কোনো ইচ্ছে নেই।’ ব্যবসা করে সংসার চালাব।

জালালপুর এলাকার উপকারভোগী বেগম ও কবুতরমারির সিরাজ আলী বলেন, আমরা ৮/১০ বছর ধরে ভিক্ষা করি। এখন আর তেমন ভিক্ষা করতে পারি না। আমরাও মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার পেয়েছি। তবে আজকের পর থেকে আর ভিক্ষা করব না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, সরকারের একটি লক্ষ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে আসা। মহান স্বাধীনতার মাসে পাঁচজন ভিক্ষুককে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। আজ আরো ১০ জন ভিক্ষুককে মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দেওয়া হলো। এসব দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো যাতে তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আসতে পারে।