জামালপুরে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

কর্মবিরতি পালন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে তারা সারাদেশে একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করছেন।

১ জুলাই সোমবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ ১৬টি দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমিতির প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় তারা ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের স্থান নাই, বৈষম্য নিপাত যাক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক’ শ্লোগানে মুখর করে তোলেন সমিতির প্রাঙ্গণ।

এ সময় বক্তব্য রাখেন মাদারগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ওবায়দুল্লাহ আল মাসুম, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অপারেশন এন্ড মেইনটেন) সাধন কুমার সরকার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈমা সিদ্দিকা, লাইন টেকনিশিয়ান আসাদুজ্জামান ও জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারী (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস-এর এজিএম আইটি ও এজিএম অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম আইটি-কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে বাপবিবো/পবিস এ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের জন্যই এই কর্মবিরতি পালন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম এক হলেও বেতন-ভাতা, পদোন্নতি, ছুটিসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন। এছাড়া বিভিন্ন সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের স্থায়ী না করায় তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। নির্ধারিত কর্মঘণ্টা নির্ধারণহ তাদের দাবিদাওয়া না মেনে নিলে তারা আরও বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।

জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় আড়াইশ কর্মচারী এই কর্মবিরতিতে অংশ নেন। পরে তারা তাদের দাবি ও বৈষম্যগুলো উত্থাপন করেন।