জামালপুরে আল-আকাবাসহ প্রতারক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দুপ্রকের মানববন্ধন

প্রতারক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

মানুষকে প্রলুব্ধ করে আল-আকাবা, শতদল, নবদ্বীপ, স্বদেশসহ বিভিন্ন নামধারী সংগঠন শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে প্রতারক সংগঠনগুলোর কর্মকর্তারা। সব হারিয়ে নিঃস্ব মানুষের আহাজারি শোনে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া এবং ভুয়া সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে জামালপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক), ময়মনসিংহ বিভাগীয় হিউম্যান রাইটস ফোরাম এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে ২৯ জুন শনিবার জামালপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা দুপ্রকের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম।

প্রতারক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর শহরের বকুলতলা চত্বরে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ইসমত পাশা, সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি অজয় কুমার পাল, কবি সাযযাদ আনসারী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আইনজীবী ইউসুফ আলী, সংস্কৃতি কর্মী তারিকুল ফেরদৌস, ভুক্তভোগী রিপা আক্তার, এটিএম ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দলেন জামালপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মাহমুদ।

প্রতারক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নাকের ডগায় এভাবে প্রতারক চক্র শত শত কোটি টাকা লুপাট করে নিয়ে গেলো তা কীভাবে সম্ভব। ভুয়া সংগঠনগুলোর পাশাপাশি যাদের আস্কারায় এরা জনগণের টাকা লুটে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়। অবিলম্বে আল-আকাবা, শতদল, নবদ্বীপ, স্বদেশ, রূপসী বাংলা, রংধনুসহ প্রতারক সংগঠনগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আত্মসাতকৃত টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।

প্রতারক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর সেলিম পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে গণস্বাক্ষর গ্রহণ, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, রোডমার্চ কর্মসূচি ইত্যাদি। এসবে দাবি আদায় না হলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সভায় এ আন্দোলনকে আরো গতিশীল করতে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন বক্তারা।