জামালপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ এ প্রতিপাদ্যের আলোকে ৫ জুন বুধবার জামালপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। জেলা প্রশাসন ও জামালপুর পরিবেশ অধিদপ্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা পুরস্কার বিতরণী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন জেসমিন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুল ইসলাম।

গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়াত আলী ফকির, জামালপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ও জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, ওয়ার্ল্ড ভিশনের জেসমিন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অসিম চ্যাটার্জি, সচেতন নাগরিক কমিটির পরিবেশ বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মনোয়ারা খানম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। আলোচনা সভা শেষে পরিবেশ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, মানুষের ভোগ বিলাসিতা এবং লোভের কারণে আজ পরিবেশের ভারসাম্য হুমকীর মধ্যে পড়েছে। খাল, বিল, নদী, নালা দখল ও দূষণ করছে। নির্বিচারে বৃক্ষনিধন করছে অবিবেচক মানুষ। এর ফলে মাঝে মধ্যেই ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করতে হবে। ইতিমধ্যে জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ মহোদয়ের নেতৃত্বে জামালপুরকে সবুজায়ন ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার বহুমাত্রিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খাল দূষণ ও দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। গবা খালের ১২ কিলোমিটার এ সপ্তাহের মধ্যেই পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হবে। এরপর শহরের বংশখাল পরিষ্কার করা হবে। এ বছরের মধ্যেই সদর উপজেলায় ৭০ কিলোমিটার সড়কে ওষধি গাছের চারা রোপণ করার কাজ শুরু হয়েছে। মোট ১৫ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে।