হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ আল কুরআনের মোড়ক উন্মোচন করলেন ধর্মমন্ত্রী

হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ আল কুরআনের মোড়ক উন্মোচন করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ইসলামপুর, বাংলারচিঠিডটকম

হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র আল-কুরআনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ২৩ মে বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে মোড়ক উন্মোচন করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে আমাদের ব্যতিক্রমী বেশকিছু পরিচয় রয়েছে। সারাবিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যারা মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছি। আমরা দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য ৩০ লাখ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছি। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে উন্নয়ন ও উৎপাদনের বিভিন্ন সূচকে বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছি। হাতে লেখা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র কুরআন শরীফ নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রতিটি ইতিবাচক ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগই দেশ-জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনে। আজকের এই মহতী কাজটিও দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের দ্বার উন্মোচন করে গেছেন। তাঁর সেই পথ অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০০টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেগুলোর উদ্বোধন করেছেন। এটিও মুসলিম বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী ও অনন্য নজির। তিনি আয়োজক সংস্থার দাবি যাচাই-বাছাই করে তাদের কাজে যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানান।

হাফেজ আবদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ক্বারী শায়েখ আহমদ বিন ইউসুফ আল আজহারী, হাতে লেখা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র আল-কুরআন প্রদর্শন আয়োজক কমিটির সভাপতি স. ম. ইফতেখার মাহমুদ বক্তব্য প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, হাতে লেখা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র আল-কুরআন প্রদর্শন আয়োজক কমিটি রচিত এই আল-কুরআনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ১৪ ফুট ও ১২ ফুট। এতে মোট ২০০টি পৃষ্ঠা রয়েছে। এর ওজন প্রায় ৮০০ কেজি। হাতে তৈরি বাঁশের কলম ও দোয়াত কালি দিয়ে এটি লেখা হয়েছে।