ওয়াশিংটন ও সিউলের বিরুদ্ধে গুপ্তচর বিমান এবং নৌযান পাঠানোর অভিযোগ উত্তর কোরিয়ার

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

উত্তর কোরিয়ার চারদিকে আরও বিমান পাঠিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি পরিচালনা করায় দেশটি ২৬ মে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অভিযুক্ত করে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এক্ষেত্রে উপদ্বীপটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হলে তারা ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নেবে। খবর এএফপি’র।

উত্তর কোরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম কাং ইল এক বিবৃতিতে বলেন, আমেরিকা ১৩ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আকাশ থেকে গুপ্তচরবৃত্তি পরিচালনায় কয়েক ডজন সামরিক বিমান মোতায়েন করেছে। বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম (ডিপিআরকে) উল্লেখ করা হয়।

তিনি বিবৃতিতে বলেন, ১২ দিন ধরে চালানো গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির পর্যায়ে ছিল। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বিবৃতিটি প্রকাশ করে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের সামরিক মহড়ার পাশাপাশি এ ধরনের শত্রুতাপূর্ণ সামরিক গুপ্তচরবৃত্তি ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক সামরিক উত্তেজনার প্রধান কারণ হয়ে ওঠেছে।’

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী বলেছে, তাদের সমুদ্র সীমানাজুড়ে শত্রু অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তারা নৌ টহল পরিচালনা করে থাকে।

এভাবে ‘মোবাইল টহলের’ আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তি পরিচালনা করায় উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা দক্ষিণ কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে।

উত্তর কোরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে তাদের সামরিক বাহিনী ‘প্রয়োজনীয়’ সামরিক ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র সীমানায় এর ধরনের কর্মকা- বারবার চালানো হলে এতে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।’