নকলায় কৃষকের জমির ধান কেটে দিলেন আনসার ভিডিপি সদস্যরা

কিংকরপুর এলাকায় অসহায় কৃষকের ধান কেটে দেন আনসার ভিডিপি সদস্যরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু
নকলা প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

এক দরিদ্র কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন শেরপুরের নকলা উপজেলার আনসার ভিডিপি কমান্ডার ও সদস্যরা। ৩ মে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গণপদ্দি ইউনিয়নের কিংকরপুর ও গজারিয়া মহল্লার কৃষক ইয়াসীন ও এমদাদুল মিয়ার প্রায় এক একর জমির ধান কেটে দেন তারা। ধান কাটার নেতৃত্ব দেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপির প্রশিক্ষক (টিআই) মো. আরিফুল ইসলাম।

শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন তাদের ফসল নিয়ে। একদিকে অর্থাভাবে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে প্রচণ্ড খরা। যেকোন সময় হতে পারে কালবৈশাখী ঝড়। দুশ্চিন্তায় কেড়ে নিয়েছে কৃষকের চোখের ঘুম।

এমন সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুল ইসলাম, বিএমএস। তার নির্দেশনায় টিআই আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে কাজ করছেন ২৫ জন আনসার ভিডিপি সদস্য। কেটে দিচ্ছেন কৃষকের ধান এবং কাটা আটি মাথায় করে পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়িতে।

ধান কাটায় অংশ নেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক (টিআই) মো. আরিফুল ইসলাম, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য আসাদুল ইসলাম, সানিল, সাদ্দাম হোসেন ও সুলতানসহ ২৫ জন সদস্য। আনসার কর্মীদের এমন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।

ধান কাটার পর আটি বেঁধে বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

এ বিষয়ে কৃষক কিংকরপুর ও গজারিয়া মহল্লার কৃষক ইয়াসীন ও এমদাদুল মিয়ার বলেন, ‘প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেই আমাদের জমির ধান কাটার উপযোগী হয়। কিন্তু শ্রমিক সঙ্কটের কারণে ধান কাটতে পারছিলাম না। আনসার কর্মীরা আমার ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক (টিআই) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আনসার কর্মীরা সবসময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। আমরা জানতে পারি অর্থ ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে কৃষক ইয়াসীন ও এমদাদুল তাদের জমির পাকা ধান কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। খবর পেয়ে আমরা এই অসহায় কৃষকদের ধান কেটে সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত।’ আমরা নয়টি ইউনিয়নে সপ্তাহব্যাপী প্রতিবন্ধী ও অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া করোনার মহামারীর সময়ও আমরা সর্বস্তরের মাঝে মাস্ক ও হ্যন্ড-সেনিটাইজার বিতরণসহ সচেতনতামূলক কাজ করেছি।