জামালপুর ও শেরপুরে র্যাবের অভিযানে ৫ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুর ও শেরপুরে ১৩ অক্টোবর পৃথক তিন অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান অভিযানগুলোর নেতৃত্ব দেন।
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, র্যাবের একটি আভিযানিক দল ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার ডাকপাড়া গ্রামস্থ সেতুলী বেম্বো গার্ডেনের সামনে পাঁকা রাস্তার ওপর অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী মদসহ দু’জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার চালাপাড়ার মো. খলিল মিয়ার ছেলে মো. আব্দুর রহমান (৩২) ও মৃত আশ্রাফ আলীর ছেলে মো. বাধন হোসেন মিলন (২২)।
তাদের কাছ থেকে ১৮ বোতল বিদেশী মদ, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। বিদেশী মদগুলো আনুমানিক মূল্য ১৮ হাজার টাকা। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ১৩ অক্টোবর বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার বেলতলী গ্রামস্থ বেলতলী বাজারের জনৈক মো. শাহীনের মনোহরী দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার ওপর অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি হলেন ওই বেলতলী গ্রামেরই মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নূর নবী (৪১)। তার কাছ থেকে ৩০০টি ইয়াবা বড়ি ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে র্যাব শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এছাড়াও র্যাবের একটি আভিযানিক দল ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পশ্চিম বামনা ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. হেলালের মুদি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার ওপর অভিযান পরিচালনা করে ফেন্সিডিলসহ দু’জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটবাড়ী গ্রামের মো. আবু সামাদের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম গুলজার (৩২) ও মো. আশ্রাফ শেখের ছেলে মো. আমিরুল শেখ (২৫)। তাদের কাছ থেকে ৩৪ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ফেন্সিডিলের আনুমানিক মূল্য ৫১ হাজার টাকা। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব ইসলামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ জামালপুর ও শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।