নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে বিচারিক হাকিমদের প্রতি সিইসি’র নির্দেশ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। ছবি : সংগৃহিত

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
দল-মতের উর্ধ্বে উঠে সাংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে বিচারিক হাকিমদের (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে ১০ ডিসেম্বর বিচারিক হাকিমদের সাথে নির্বাচনী নির্দেশনামূলক এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বিচারকি হাকিমদের সিইসি বলেন, ‘প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে দল, পক্ষ, ব্যক্তির উর্ধ্বে উঠে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনারা সাংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন। আপনি স্বাধীন, আপনি নিরপেক্ষ, আপনি বিচারক, বিচারকের মাইন্ড আপনাকে অ্যাপ্লাই করতে হবে। আতঙ্ক নয়, কমিশন চায় একটি আস্থার নির্বাচন।’

তিনি বলেন, নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করা যায় তা নিজের মেধা, প্রজ্ঞা দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। সংবিধান, জাতি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশন দায়বদ্ধ।

তিনি বলেন, ৬শ’র বেশি বিচারিক হাকিম ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন। বৈষম্যের উর্ধ্বে থেকে রাগ অনুরাগ প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে।

নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে তিনদিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে আজ ২১৫ জন বিচারিক হাকিম অংশ নেন। তিন ধাপে মোট ৬৪০ জন বিচারিকি হাকিমকে ব্রিফ করবে কমিশন। ভোটগ্রহণের আগের দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন তারা নির্বাচনের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন।

ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, বিচারিক হাকিমদের সরব উপস্থিতি চায় কমিশন। কেউ শিথিলতা ও পক্ষপাতিত্ব করলে ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে একটাই স্বপ্ন, কোনো প্রার্থী যেন ভোটের মাধ্যমে নিজের জয় নিশ্চিত না করে জাতীয় সংসদে আসতে না পারে।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা চালাতে পারবেন।
সূত্র : বাসস