আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা : ওবায়দুল কাদের

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে। এ জন্য সরকারি দল হিসেবে আমরা ধৈর্য্য ধারণ করেছি। বিএনপি আমাদের এ সহনশীলতাকে দুর্বলতা হিসেবে মনে করলে মস্তবড় ভুল করবে।’

ওবায়দুল কাদের ১৬ নভেম্বর সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যালায়েন্সের মধ্যে আসন ভাগাভাগির কাজ চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে কাদের বলেন, বিজয়ী হওয়ার মত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদেরকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হবে। দুর্বল প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে হারের ঝুঁকি নেবেন না। কারণ বিএনপির প্রার্থীকে তারা দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিচ্ছেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে দেশী-বিদেশী সকল সমীক্ষা ও জরিপে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তার অভ্রভেদী তুঙ্গে অবস্থান করছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে সকল জরীপে জনপ্রিয়তায় অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছে। ‘আমরা গত তিন-চার দিন ৫-৬ টি জরিপ প্রতিবেদন স্টাডি করেছি। এ সকল জরিপে শুধু আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তাও যাচাই করা হয়েছে।’ বলেন কাদের।

গত ৫-৬ মাস আগে আওয়ামী লীগ যেসব জায়গায় জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে ছিল সেসব জায়গায় এ মুহূর্তে এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনসমর্থন হারিয়ে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের পথ ধরে এগিয়ে যেতে চায়। নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে তারা নিজেদের আগুন সন্ত্রাসের বৈশিষ্ট থেকে যে বের করে আনতে পারে নি’ তার প্রমাণ দিয়েছে। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে হেরে যাওয়ার ভয় থেকেই তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে একদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক শক্তি এবং অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিএনপির অতীত ইতিহাস দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে পরিপূর্ণ এবং ইতিবাচক কোন কাজ দৃশ্যমান নেই। যাকে অবলম্বন করে তারা জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আগুন দিয়ে পুলিশের গাড়ী পোড়াবে, পুলিশকে আহত করে হাসপাতালে পাঠাবে, আর মামলা হবে না, তা কখনো হতে পারে না। বিএনপির সন্ত্রাস ও নাশকতা বিনা শাস্তিতে ঢাকা পড়ে যাবে তা কি করে হয়? জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তারা এ ধরনের দু:সাহস কি করে দেখায়? অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া অপরাধ কিনা তিনি সেই প্রশ্ন রাখেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিএনপির নেতাদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তাদের জনসমর্থনের পারদ এত নিচে নেমে গেছে যে তারা বেসামাল হয়ে গেছে। তারা হতাশা থেকে এ ধরনের বেপরোয়া মন্তব্য করছে।
সূত্র : বাসস