আগাম ধান চাষে কৃষকের খরচ ও সময় বাঁচে : ব্রি’র পরিচালক

ব্রি ধান ৮২ আউশের আবাদ পরিদর্শন করেন ব্রি’র পরিচালক পরিচালক ড. তমাল লতা আদ্রিতা। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা॥
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের পরিচালক ড. তমাল লতা আদ্রিতা বলেছেন আগাম ধান চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষকের খরচ ও সময় বাঁচে।

২১ জুলাই সকালে শেরপুরের নকলা উপজেলার জালালুপুর এলাকায় নতুন উদ্ভাবিত ড্রাম সিডারের মাধ্যমে রোপণকৃত ব্রি ধান ৮২ আউশের আবাদ পরিদর্শন কালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. তমাল লতা আদ্রিতা আরও বলেন, উপজেলায় যেদিকে দৃষ্টি যায়, শুধু সবুজের সমারোহ নজরে পড়ে। একই জমিতে আউশ, আমন ও বোরো আবাদ করতে পারায় কৃষকেরা অধিক লাভবান হচ্ছেন। গত বছর অন্যান্য আবাদের চেয়ে খরচের তুলনায় আউশ আবাদে অপেক্ষাকৃত বেশি লাভ পাওয়ায় কৃষকেরা ঝুঁকছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর জানান, এ বছর নকলা উপজেলায় ২৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আউশের আবাদ করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আউশ আবাদ বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ব্রি ধান-৪৮, বিনা ধান-১৯, বিআর-২৬, নেরিকা মিউট্যান্ট জাতের ধানসহ নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৮২ জাত ১৫ একর জমিতে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে চাষ করা হয়েছে।

এ সময় নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, ব্রি’র উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হুমায়ুন কবীর, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুর রহমানসহ স্থানীয় কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *